মঞ্চ ভেঙে পড়ে গেল এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ আহত ১০

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে আ. লীগের কর্মী সমাবেশের মঞ্চ ভেঙে পড়ে এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ অন্তত ১০ নেতাকর্মী কমবেশি আহত হয়েছেন। শুক্রবার বিকাল সোয়া ৫টার দিকে উপজেলার ফৌজদারহাট কে.এম হাই স্কুলে এ ঘটনা ঘটে। মঞ্চে নেতাকর্মীদের উপছে পড়া ভিড় ও ঠেলাঠেলির কারণে এ ঘটনা ঘটেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে।

জানা গেছে, সীতাকুণ্ডের সলিমপুর ইউনিয়ন আ. লীগের উদ্যোগে স্থানীয় কে. এম হাইস্কুল মাঠে নৌকার প্রচারণায় এক কর্মী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আ. লীগের প্রার্থী স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব দিদারুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি এস.এম আল মামুন। বিকাল সাড়ে ৩টায় এ সমাবেশ শুরু হয়।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এ সমাবেশে প্রায় দুই হাজার নেতাকর্মী সমবেত হন। এর মধ্যে শতাধিক নেতাকর্মী উঠে পড়েন মঞ্চেও। সলিমপুর ইউনিয়ন আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলে করিম নিউটনের সঞ্চালনায় ও সভাপতি মো. গোলাম মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠান চলছিলো।

বিকাল প্রায় ৫টার দিকে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য থানা আ. লীগের যুগ্ন সম্পাদক আ ম ম দিলশাদ যখন বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন ঠিক তখনই নেতাকর্মীদের ঠেলাঠেলি ও ভিড়ের চাপে মঞ্চটি ভেঙে পড়ে যায়। এতে কমবেশি আহত হন প্রধান অতিথি এমপি দিদারুল আলম ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি এস.এম আল মামুন, দিলশাদসহ অন্তত ১০ জন। পরে বাধ্য হয়ে এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান স্কুলের শহীদ মিনারে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠানের সভাপতি মো. গোলাম মহিউদ্দিন বলেন, আমরাই এ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছিলাম। এ অনুষ্ঠানে দুই হাজারেরও বেশি কর্মী-সমর্থক উপস্থিত হন। মঞ্চেই উঠে যান শতাধিক নেতাকর্মী। তাদের চাপে অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে মঞ্চটি ভেঙে পড়ে। তখনও এমপি মহোদয় ও উপজেলা চেয়ারম্যানের বক্তব্য বাকি ছিল। তাই তারা শহীদ মিনারে গিয়ে বক্তব্য রেখে মাগরিবের সময় অনুষ্ঠান শেষ করেন।

জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন ও এমপি আলহাজ্ব দিদারুল আলম দুই জনই মঞ্চে ভেঙে পড়ে আহত হবার কথা নিশ্চিত করেন। উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন বলেন, অনুষ্ঠান তখন প্রায় শেষের দিকে। জেলা পরিষদ সদস্য দিলশাদ বক্তব্য রাখছিলেন। এ সময় ভিড়ের চাপে মঞ্চটি ভেঙে পড়ে।

আমিও পায়ে ব্যাথা পেয়েছি। এমপি দিদারুল আলম বলেন, সভায় অসংখ্য নেতাকর্মীর ভিড় ছিলো। মঞ্চের ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি মানুষ উঠে যাওয়ায় সেটি ভেঙে পড়ে। তিনিও পায়ে ব্যাথা পেয়েছেন বলে জানান।

এ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন ছাবেরী, মো. ইসহাক, অ্যাড. ভবতোষ নাথ, গোলাম মোস্তফা, আজম খানসহ অনেকে।–কালেরকন্ঠ